শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন

আপডেট
যুদ্ধাপরাধ মামলায় ত্রিশালের ৫ জনের রায় যেকোনো দিন

যুদ্ধাপরাধ মামলায় ত্রিশালের ৫ জনের রায় যেকোনো দিন

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ত্রিশালে পাঁচজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এ মামলায় রায় যেকোনো দিন ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল। রবিবার (১৩ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম। প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন আটজন। এর মধ্যে ছয়জন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এদের মধ্যে তিনজন কারাগারে। আর তিনজন মারা গেছেন। বাকি দুজন এখনো পলাতক। আদালতে রবিবার রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন, প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন ও ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার, অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম।
প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন বলেন, এ মামলায় মোট আট আসামির মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এর মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। তারা হলেন জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এমএ আব্দুল হান্নান, তার ছেলে মো. রফিক সাজ্জাদ (৬২) ও মিজানুর রহমান মিন্টু (৬৩)।
গ্রেপ্তার হয়ে এখনো কারাগারে মো. হরমুজ আলী (৭৩), মো. আব্দুস সাত্তার (৬১) ও খন্দকার গোলাম রব্বানী (৬৩)। আর পলাতকরা হলেন ডা. খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদ (৬৯) ও মো. ফখরুজ্জামান (৬১)। ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর মামলায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এমএ হান্নান ও তার ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে মামলার আইওসহ ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
২০১৬ সালের ১১ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা আসামিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেয়। আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও লাশ গুম এ সাত ধরনের অপরাধের ৬টি অভিযোগ আনা হয়। ২০১৫ সালের ১৯ মে ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন এ মামলা করেন। ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক পরে এজাহারটি গ্রহণ করে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |